বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুয়া সনদে প্রগতিতে চাকরি, ১০ বছর পর অপসারণ

  •    
  • ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:২৩

২০১১ সালে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে চাকরি নেন কায়কোবাদ আল মামুন।

ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ দিয়ে প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) পদে চাকরি নেয়ার অভিযোগে দশ বছর পর প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (পিআইএল) উপপ্রধান প্রকৌশলী কায়কোবাদ আল মামুনকে অপসারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।

পিআইএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কায়কোবাদ আল মামুন ২০০১ সাল ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষায় তিনি একটি বিষয়ে খারাপ রেজাল্ট করেন। কিন্তু বিষয়টি গোপন রেখে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন। এর মধ্যে ২০০৬ সালে তিনি আবার ওই বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন।

মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে চাকরি নেন কায়কোবাদ আল মামুন। মূলত ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদের জন্য কায়কোবাদ আল মামুনকে অপসারণ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে কায়কোবাদ আল মামুন এ ব্যাপারে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা সনদ ঠিক আছে। আমার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব।’

‘প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ গাড়ি সংযোজন এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ উত্পাদনকারী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান। এটি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা যন্ত্রাংশের সংযোজন করে গাড়ি নির্মাণ করে থাকে, যা স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করা হয়।

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের জেনারেল মোটরসের কারিগরি সহযোগিতায় চট্টগ্রামের বাড়বকুন্ডে গাড়ি উৎপাদনের জন্য ব্যক্তি মালিকানায় ‘গান্ধারা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পিআইএল) নামে জাতীয়করণ করে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) নিয়ন্ত্রণে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত এটি বিএসইসির অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশের পরিবহন খাতে বিপর্যস্ত অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি জরুরি ভিত্তিতে ইংল্যান্ড থেকে বাস ও বেডফোর্ড ট্রাক আমদানি করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

প্রগতির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায়। এর কারখানাটিও চট্টগ্রামে অবস্থিত। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান, যা এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি অধিক প্রাইভেট কার, জিপ, বাস, ট্রাক, পিকাপ, অ্যাম্বুলেন্স, ও ট্রাক্টর সংযোজন করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর